দ্য থ্রি কফিনস্‌ – Akkhor.xyz

১৯৩০ দশকের লন্ডনবাসীদের নাড়িয়ে দিয়ে গেছিল একই দিনে ঘটে যাওয়া ২টো অস্বাভাবিক খুন। এমনভাবে খুন দুটো হয়েছিল, যাতে খুনিকে যে কেবল অদৃশ্য মনে হয়েছে তা-ই নয়, যেন খুন করার পর সে বাতাসে মিলিয়ে গেছে। এক সন্ধ্যায় ডক্টর চার্লস গ্রিমাডের সঙ্গে দেখা করতে আসে এক রহস্যময় ব্যক্তি যে কিনা নিজের মুক ঢেকে রেখেছিল এক অদ্ভুতদর্শন মুখোশে। এই রহস্যজনক ব্যক্তিকে সকলে ডঃ গ্রিমাডের রুমে ঢুকতে দেখলেও বেরোতে দেখেনি কেউ। ডঃ গ্রিমাডের চিৎকার শুনে সকলে রুমের দরজা খুলে দেখে রুম একেবারে ফাঁকা আর মেঝেতে পড়ে রয়েছে ডঃ গ্রিমাডের রক্তাক্ত দেহ। অন্যদিকে ক্যাগলিওস্ত্রো স্ট্রিটে খুন হলেন রহস্যময় জাদুকর পিয়ের ফ্লে। মৃতদেহের পাশেই পাওয়া গেছে বন্দুক কিন্তু রহস্যজনকভাবে খুনির কোনরকম পায়ের ছাপ পাওয়া যায়নি বরফে ঢাকা রাস্তায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা গুলির শব্দ ও ফ্লে-কে লুটিয়ে পড়তে দেখলেও খুনিকে নাকি দেখতে পাননি কেউই। ইনভেস্টিগেশনে নামলেন ডঃ ফেল। তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করল ডঃ গ্রিমাডের রুমে রাখা এক পেন্টিং — পাহাড়ে-ঘেড়া এক নির্জন স্থানে ৩টে কফিনস্‌। সন্দেহের ঘেরাটপে রোসেট গ্রিমাড, বাড়ির পরিচারক ম্যাডাম ডুমন্ট, সেক্রেটারি স্টুয়ার্ট মিলস, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হুবার্ট ড্রেম্যান, কাগজের সাংবাদিক বয়েড ম্যানগান, গল্পবলিয়ে অ্যান্টনি পেটিস ও শখের শিল্পী জেরম বার্নাবি। একে একে সামনে আসতে লাগল সকলের রহস্যজনক অতীত। কিন্তু প্রশ্ন একটাই— সকলের সামনে খুনি খুন করল কীভাবে আর খুনের পরেই বা এভাবে অদৃশ্য হয়ে গেল কীভাবে?