প্রিয় ২৫ – Akkhor.xyz

চন্দ্রিমা বললো, ধুর বাবা, তারপর শোনো না… মেহগনি কাঠের একটা পালঙ্ক নিয়েছি সেদিন এই অকসন থেকে। মিস্টার চ্যাটার্জী চা বাগানের মালিক বুঝলে। তাই দেদার টাকা খরচ করছেন বাড়িটাকে এমন সব অ্যান্টিক জিনিস দিয়ে সাজাতে। শেষে খুঁজতে খুঁজতে বেরিয়ে গেল ওই পালঙ্কটা নাকি জগৎ শেঠের কোনো আত্মীয়ের। ভাবতে কেমন রোমাঞ্চ লাগছে না অঙ্কুর!
অঙ্কুর ছদ্ম বিস্ময়ের ভঙ্গি করে বললো, বলো কী! সেই তখনকার জিনিস!
চন্দ্রিমা বললো, মিস্টার চ্যাটার্জীর বাড়িটা ডেকোরেট করে ফেলার পরে তোমায় একদিন নিয়ে যাব। দেখবে ঝাড়লণ্ঠনটা। ড্রয়িং রুমে ঢুকলে ওটার দিকেই তাকিয়ে থাকবে। আর জানো, মাস্টার ক্লকটা তো সেই ইংরেজ আমলের।
অঙ্কুর ফিসফিস করে বললো, মিস্টার চ্যাটার্জী তার মানে আস্ত একখানা চিড়িয়াখানা বানাচ্ছেন।
চন্দ্রিমার আদুরে গলায় আব্দার, আমার একটা পুরোনো আমলের পিয়ানো চাই।
পিয়ানো? কেন শিখবে নাকি?
চন্দ্রিমা গভীর গলায় বলল, ওই পিয়ানোটা আমি দেখেছি। ওটা বাজে না জানো! ওর দুচোখে রহস্য জমাট বেঁধে আছে।
কোন পিয়ানো? বাজে না পিয়ানো নিয়ে কি করবে তুমি? প্রশ্ন করেও উত্তর পেলো না অঙ্কুর।
সে কেমন পিয়ানো? যার সুর নেই? কেনই বা চন্দ্রিমা সেটা কিনতে চাইছে? রহস্য ক্রমশ জট পাকাচ্ছে অঙ্কুরের মাথায়।
সব প্রশ্নের উত্তর দেবে, অর্পিতা সরকারের ভিন্ন স্বাদের গল্প সংকলন- ‘প্রিয় পঁচিশ’।