লাভক্র্যাফট অমনিবাস – Akkhor.xyz

লেখকের কৈফিয়ত

অদ্রীশ বর্ধন সহ বর্তমান সময়ের একাধিক দক্ষ লেখক এইচ পি লাভক্র্যাফটের অনুবাদ করা সত্বেও নিতান্তই অর্বাচীন আমি কেন সেই একই কাজ করায় ব্রতীবাচী? এই প্রশ্নটা নিশ্চিতভাবেই মানুষের মনে ঢেউ তুলেছে। তার ওপরে এমন একজন লেখক যার লেখাকে আক্ষরিক অর্থেই বােঝার পক্ষে ‘দাঁতভাঙ্গা শব্দরাজির মাথা গুলিয়ে দেওয়া লেখনী’ বলে থাকেন বেশীর ভাগ পাঠক বা গবেষক। আমি নিজেও সেই অভিজ্ঞতা লাভ করেছি বছর তিরিশ আগে। বেশিদূর এগােতে পারিনি পড়ার ক্ষেত্রে। সেই সময়েই মনের ভেতর একটা ছােট্ট আশা জন্মেছিল এইসব লেখা বােঝার এবং আমার মত যারা বুঝতে পারেনা তাদের জন্য অনুবাদ করার। তারপর আঠাশ বছর পার হয়েছে। সেই ভাবনা ভুলেও গিয়েছিলাম। ইত্যবসরে ফেসবুকের একটি কল্পবিজ্ঞান চর্চার গ্রুপ তাদের ওয়েব ম্যাগাজিন বিশেষ সংখ্যা করে লাভক্র্যাফটকে নিয়ে। মনের ভেতর চাপা পড়ে থাকা ইচ্ছেটা আবার মাথা চাড়া দেয় ওই সংখ্যা পড়ার পর। কয়েকদিন বাদেই পড়ি এবং কেবলমাত্র ভালবাসা থেকে সাহস করে অনুবাদ করি ‘পােলারিস’ গল্পটা। পােস্ট করি ওই গ্রুপ এবং নিজের ওয়ালে যা চোখে পড়ে শ্রদ্ধেয় রনেন ঘােষ স্যারের। উনি ফোন নম্বর দিয়ে
কথা বলতে বলেন। প্রায় আধঘণ্টার সেই বাক্যালাপে যে উৎসাহ উনি দেন, বলা যায় তারই ফল এই কাজ।

এক এক করে বেশ কিছু গল্প এবং একাধিক মানুষের অনুরােধে The call of Cthulu অনুবাদ করি এবং পােস্ট করি। যার সূত্রে অনেক মানুষ উৎসাহ দিয়ে যান নিরন্তর। ভালবাসা বেড়ে যায় কাজটা করার। আর সেটাই যােগায় সাহস। লেখকের মােট ৩০টা রচনা অনুবাদ করে ফেলি এক এক করে। ইচ্ছে আছে বাকিগুলােকেও অনুবাদ করার।