আশ্চর্য ৭ – Akkhor.xyz

‘সপ্তম আশ্চর্য’ আসলে কী? এককথায় বলা চলে, প্রাচীন যুগের সাতটা বিস্ময়-স্থাপত্যের এক উজ্জ্বল সমাহার। যা আদতে গ্রীক পর্যটকদের লেখা ভ্রমণকাহিনী বা ‘থিমেটা’। এখানে উল্লেখ্য, এই সপ্তম আশ্চর্যের তালিকা কিন্তু একটা নয়। একজোড়া। অর্থাৎ, সবমিলিয়ে চোদ্দটা আশ্চর্য। খুফুর পিরামিড, ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান, অলিম্পিয়ার জিউস মূর্তি, আর্টিমিসের মন্দির, হ্যালিকারনাসাসের সমাধি, রোডসের কলোসাস এবং আলেকজান্দ্রিয়ার লাইটহাউস, – প্রাচীন যুগের এই সাতটা আশ্চর্য নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রথম তালিকা। দ্বিতীয় তালিকার সদস্যরা তুলনামূলকভাবে বয়সে নবীন। অন্তর্জালে বিশ্বব্যাপী ভোটাভুটির মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়েছিল এদেরকে। এই স্থাপত্যগুলো হল চীনের প্রাচীর, পেট্রা, কলোসিয়াম, চিচেন ইটজা, মাচু পিচ্চু, তাজমহল এবং ক্রাইস্ট-দ্য-রিডিমার। তবে এই নির্বাচন প্রক্রিয়া একইসঙ্গে জন্ম দিয়েছে মহাবিতর্কের। কারণ তথাকথিতভাবে কম সংখ্যায় ভোট পাওয়ার কারণে বাদ পড়ে গেছে এমন কিছু সুযোগ্য প্রতিনিধি যারা কিনা অনায়াসেই জায়গা করে নিতে পারত এই তালিকায়। এরকমই সাতটা ‘আশ্চর্য’-এর কথা নিয়ে থাকছে আরও একটা অধ্যায়। সবমিলিয়ে এই ২১ আশ্চর্যের রাজসূয় আয়োজন এই বইতে। একদিকে বিপুল পরিমাণে তথ্য, অন্যদিকে ইতিহাসের অলৌকিক বিভা মাখা অসংখ্য গল্পে-মিথে-ছবিতে সেজে উঠেছে পাতার পর পাতা।

সপ্ত আশ্চর্যের সেই জাদু অলিন্দে ডানা মেলে উড়ে বেড়াতে আপনি তৈরি তো?

প্রকাশকের তরফ থেকে

গল্প-মিথ-ফ্যান্টাসিতে মাখামাখি ‘সপ্তম আশ্চর্য’ নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই। অথচ বাংলায় এই বিষয়ে একটা পুর্নাঙ্গ বই-এর কোথাও যেন একটা অভাব ছিল। ‘বুকফার্ম’ প্রকাশনার একদম শুরুর দিকে আমরা যেসব বই প্রকাশনার পরিকল্পনা করি তার একদম প্রথম সারিতে ছিল এই বইখানি। বেশ কিছু বছরের পরিশ্রমের পর বইটি যে প্রকাশিত হচ্ছে এটা আমাদের অত্যন্ত আনন্দের।

এককথায় ছোট-বড়ো সকলের জন্য এই বই। একদিকে যেমন রয়েছে ‘সপ্তম আশ্চর্য’ সংক্রান্ত নানা আশ্চর্য তথ্য। অন্যদিকে অজস্র গল্প, যা আদতে ইতিহাসের সত্যকাহিনি। কালে কালে এগুলো অনেকাংশে মিথে পরিণত হয়েছে। কথায় বলে সত্য অনেকসময়ে গল্পকেও হার মানায়। এই বইয়ের পাতায় পাতায় তারই যেন উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি। পরিশেষে, যাদের জন্য এই বই, সেই পাঠককুলের যদি এই বই ভালো লেগে থাকে তাহলে আমাদের পরিশ্রম সার্থক বলে মনে করব।