উদ্ধারণপুরের ঘাট” গ্রন্থের প্রসঙ্গে
অলংকার শাস্ত্রে যে নবরসের উল্লেখ আছে তার মধ্যে ভয়ানক ও বীভৎস রস, লেখকরা যথাসাধ্য পরিহার করে থাকেন। আপনার নূতন গ্রন্থে এই দুই রসই প্রধান অবলম্বন এবং তাই দিয়েই আপনি পাঠককে সম্মােহিত করেছেন, শেষ পর্যন্ত কোন আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণ রাখেন নি।
—রাজশেখর বসু
আপনার ‘উদ্ধারণপুরের ঘাট’ পড়ে চমৎকৃত হয়েছি।….কেবল বিষয়বস্তু অসাধারণ বলে নয়, আপনি তাকে যে সাহিত্যিক রূপ দিয়েছেন, তা অনন্যসাধারণ। সেই রূপের বৈচিত্রে বাংলা সাহিত্য সমৃদ্ধ হয়েছে।
—অতুলচন্দ্র গুপ্ত
অদ্ভুত বই আপনি লিখেছেন।..মড়ার গদী আর তার সমস্ত বাতাবরণের মধ্য থেকে নিতাই বােষ্টমীর কথাটি সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে….সার্থক আপনার দৃষ্টিশক্তি, আরও সার্থক আপনার রসসৃষ্টি।
—ডঃ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
বাংলা কথাসাহিত্যে অবধূতের আবির্ভাব এক বিস্ময়। নির্লিপ্ত বর্ণনাভঙ্গীতে এবং বিষয়ের নূতনত্বে তিনি গতানুগতিকতার পম্বল-সলিলে আলােড়ন তুলিয়াছেন।….উদ্ধারণপুরের ঘাটে…যে আলেখ্য তিনি আঁকিয়াছেন তাহা বাংলা সাহিত্যে সর্বৈব নূতন।
—সজনীকান্ত দাস
লেখক আশ্চর্যরূপ সার্থক রূপক-ব্যঞ্জনায়, উপাদানবিন্যাসের অদ্ভুত কুশলতায়…চতুর্দিকে হিল্লোলিত কামনা-তরঙ্গের চঞ্চল ছন্দে প্রতিবেশের স্থূল বাস্তবতা ও সূক্ষ্ম ভাবসকেতের সাহায্যে ইহাকে জীবন্ত করিয়া তুলিয়াছেন। বাংলা সাহিত্যে সর্বপ্রথম…শ্মশানের মহাকাব্য রচিত হইয়াছে।
—ডঃ শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
Reviews
There are no reviews yet.