রামায়ণ-মহাভারতে মারণাস্ত্রের যে বিপুল সম্ভার আমরা দেখেছি, আজ এতকাল পরে সেই বিচিত্রক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্রগুলি কোথায় আছে, কেউ কি জানে? কোথায় গেল পরশুরামের কুঠার, যা দিয়ে নাকি এত নরহত্যা হয়েছিল যে সেই রক্তে পাঁচ-পাঁচটা হ্রদ তৈরি হয়েছিল সমন্তপঞ্চকে? কোথায় আছে ভীমের কালান্তক লৌহগদা, যার আঘাতে চূর্ণ হয়েছিল মহাবল দুর্যোধনের ঊরু? রাম হরধনু ভঙ্গ করার পর জনকরাজা কী করেছিলেন তার ভাঙা টুকরোগুলো নিয়ে? কী হবে যদি জানা যায় এইসব দিব্য অস্ত্রের কয়েকটিকে আজও সংগোপনে একটি প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে মানবচক্ষুর আড়াল থেকে লুকিয়ে রেখেছে একদল বীর যোদ্ধা, আর এদেরই কোনো একটিকে ব্যবহার করে বন্দীদশা থেকে ফিরে আসতে চাইছে এক অমিত শক্তিশালী, হিংস্র রাক্ষস?
গল্পের নায়ক বছর পনেরোর অনাথ কিশোর অভী বেরিয়েছিল সোনার পাখি ধরতে, কিন্তু তার জীবনটাই পালটে গেল এক রহস্যময় যোদ্ধার আবির্ভাবে। তার সঙ্গে অভিযানে বেরিয়ে সে জানতে পারল, রাক্ষসদের সঙ্গে মানুষদের প্রলয়ংকর যুদ্ধ শুরু হওয়া সময়ের অপেক্ষামাত্র। আর তার চেয়েও ভয়ংকর জিজ্ঞাস্যঃ কে সেই অমোঘ ভবিষ্যদ্বাণীর প্রলয়যোদ্ধা, যার আগমনে ধ্বংস হয়ে যেতে চলেছে সমগ্র মানবসভ্যতা?
Reviews
There are no reviews yet.