রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশন তখন চালু হয়েছিল বলে মনে পড়ছে না। চারু মার্কেটের পুরোনো বাড়ি থেকে তাই ট্যাক্সি ধরেই প্রথম দিন অফিস আসি। কোনো ধারণা ছিল না আমাকে কী করতে বলা হবে ? আন্দাজ করেছিলাম লেখার চাকরি।সাত-আট ঘন্টা অফিসে থাকতে হবে। লিখতে হবে। তার পর ফিরে যাওয়া যাবে বন্ধুদের সঙ্গে প্রিয় রাতের আড্ডায়। ‘টেলিগ্ৰাফ ‘- এ শিক্ষানবীশ সাংবাদিকের চাকরি।প্রথম দিন জানা গেল যে নিজে লেখার কোনো ব্যাপার নেই। যদি না কোনো বিভাগ লেখা চায়টায় ।তখন আমার লেখা কেউ চাইবেই বা কেন ? ফলে আপাদমস্তক ডেস্কের চাকরি।এডিটিং।অন্যের কপির হেডিং দেওয়া এসব। আর সাত নয় ,চোদ্দ ঘন্টার চাকরি।সকাল নটায় ঢুকি রাত্তির দুটোয় বাড়ি ফিরি। সো জীবন থেকে চাকরির প্রথম দিনেই আড্ডার বিদায় ঘটল। নিশ্চিত নই হঠাৎ মতি নন্দীর চোখে পড়ে সাড়ে পাঁচ মাসের মধ্যে আনন্দবাজার চলে না গেলে আমি ডেস্কের বিরস কাজে একবছরও কাটাতে পারতাম কিনা ? শুরুর দিকটা মনে হত অপয়া ১৩ তারিখে জয়েন না করলেই হত। আজ চল্লিশ বছরের জার্নিটা কেমন ঘোরের মতো লাগে।আপনাদের শুরু থেকে এমন সহৃদয়ভাবে সঙ্গে থাকাও। ‘অফ স্টাম্পের বাইরে ‘ সেই চল্লিশের একটা গুরুত্বপূর্ণ নির্যাস।তাই প্রচ্ছদ প্রকাশের জন্য মনে হল নতুন বছরে আজকের দিনটাই সবচেয়ে উপযুক্ত।
Reviews
There are no reviews yet.