নবদিগন্তের দিদিমনি দয়িতা ঘোষ।
চুলের আড়ালে সিঁদুরের রেখা। উনি কি বিবাহিত? জামালপুরের মানুষের অত্যন্ত সম্মানের মানুষটির অতীতে কি আছে? কেন উনি মাঝে মাঝেই বেরিয়ে যান হোস্টেল থেকে? কোথায় যান?
জামালপুর হসপিটালের ডাক্তার সুজিত বসু। চক্রান্তের শিকার। কেন তার পিছনে চক্রান্ত করা হচ্ছে, কে করছে এই চক্রান্ত?
রিতিকা আর সুজিত কি পারবে তাদের ভালোবাসা কে অক্ষয় করতে?
শেফালীর সুজিতের প্রতি কিসের আকর্ষণ? কেন শেফালী দাঁড়িয়ে থাকে সুজিতের ফেরার পথে।
মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অরিত্র ঘোষালের জীবনে সব পেয়েও কিসের অপূর্ণতা? কেন অরিত্র কম্পিউটার মনিটরে চোখ রেখে হারিয়ে যায় কোনো এক অতীতের গভীরে?
শ্রেয়ান বাবা- মাকে ছেড়ে কেন দেরদুনের স্কুলে।গিটারের তারে না পাওয়ার কষ্টরা ভিড় করে আসে।
স্বনামধন্য লেখিকা নীহারিকা সেন, অথচ কেন তিনি পাঠক বা মিডিয়ার আড়ালে? কেন তার বইয়ের ব্যাক কভারে কোনো ছবি নেই নিজের?
দয়িতা অত্যন্ত স্বাধীনচেতা একটা মেয়ে, বাবা কমিউনিস্ট, রাজনীতির কারনে গ্রেফতারও হয়েছিলেন। প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়ার সময় হঠাৎ কোনো বসন্ত বাতাস কি রাঙিয়ে দিয়েছিলো দয়িতাকে? যদি ভালোই বেসে থাকে, তাহলে কেন নবদিগন্তের দিদিমণি আজ একা। একা? নাকি কেউ না জানা অতীত পিছনে হাতছানি দেয় তাকে।দয়িতার ডায়রির পাতায় অরিত্রর নাম, তবে কি দয়িতা আর অরিত্র…কি সম্পর্ক ওদের দুজনের?কেন দয়িতা তিলোত্তমা ছেড়ে জামালপুর মফস্বল?
না শেষ হওয়া রাস্তাগুলোর বাঁক ঘুরলেই দেখা যায় বিভিন্ন দৃশ্য। কখনো ইট ,কাঠ পাথরের রুক্ষতা আবার কখনো সবুজের সমারোহ। জীবনের অন্তহীন চলার পথে তেমনই আলাপ বিভিন্ন চরিত্রের সাথে। জীবন নামক নাটকের সবাই যেন অভিনেতা। কারোর পার্ট ছোট, কারোর মুখ্য। আবার কিছু এমন হয় , যা হয়ে ওঠে জীবন যুদ্ধে বাঁচার প্রেরণা। মনে হয় যেন এ আলাপ কিছুদিনের জন্য বা কিছুক্ষনের জন্য নয়, এ আলাপ যেন অনন্ত কালের। প্রাণের সাথে প্রাণের হৃৎস্পন্দন জড়িয়ে থাকে…যা চলতে থাকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে, জুগিয়ে যায় বেঁচে থাকার রসদ। প্রবহমান পাঁচটি দশক সঙ্গে নিয়ে “প্রাণের আলাপ” কলমে- অর্পিতা সরকার
Reviews
There are no reviews yet.