দময়ন্তী একজন ইতিহাসের অধ্যাপিকা ঘটনাচক্রে জানা যায় যে কোনো অসামাজিক অপরাধমূলক ঘটনার রহস্যভেদ করার তার একটা স্বাভাবিক ক্ষমতা আছে। তারপর থেকে সে তার ইঞ্জিনিয়ার স্বামী সমরেশ দত্ত গুপ্তের বন্ধু কলকাতা পুলিশের ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টের শিবেনকে কিছু জটিল রহস্যের সমাধানে সাহায্য করে থাকে। তার যুক্তি, বুদ্ধি, কোনো ঘটনার সঠিক বিশ্লেষণ ইত্যাদি করবার ক্ষমতা আনেক অপরাধের রহস্যের সমাধান করেছে। এটা অস্বাভাবিক নয়। একজন ঐতিহাসিক যেমন কোনো প্রাচীন সভ্যতার ভগ্নাবশেষ বা কোনো পাগুলিপির ছেঁড়া পাতা প্রভৃতি থেকে একটি লুপ্ত জনগোষ্ঠীর চরিত্র বা ঘটনার ওপর আলোকপাত করেন, সেই রকম ভাবে দময়ন্তী নানা সূত্র থেকে একটা রহস্যের আসল রূপটা বের করে আনে।
দময়ন্তী পেশাদার ডিটেকটিভ নয়। সে বন্দুক-পিস্তল চালায় না। খুনি বা গুন্ডাদের সঙ্গে মারামারিও করে না। তার আর সমরেশের ছোটো সুখী শান্ত সংসার । শিবেন আর সমরেশ দু-জনেই তাকে ওর কাজে সাহায্য করে থাকে।গসিপ নিয়ে আলোচনা করতে ভালোবাসে। অবসর সময়ে বই পড়ে বা সিনেমা দেখে থাকে।
প্রায় ৪৫ বছর আগে ‘রহস্য-সন্ধানী দময়ন্তী’ প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৭৪ সালে ‘রোমাঞ্চ’ পত্রিকার পাতায়।
মনোজ সেনের স্বাদু কলমে এখনো অমলিন দময়ন্তীর রহস্য সন্ধান !
হারিয়ে যাওয়া সেই রহস্য-সন্ধানীর উপন্যাসগুলিকে একাধিক খন্ডে করছে বুক ফার্ম।
Reviews
There are no reviews yet.