গোটা বই জুড়ে গা ছমছমে ভয়ের দ্রিমি দ্রিমি। চরাচর ধুয়ে যাওয়া জ্যোৎস্নার নিবিড় রাতে পুরনো কলকাতার গা-ছমছমে আলো আঁধারি এক “অপার্থিব” পরিবেশ খেলা করেছে বইটির প্রতিটি পাতায়।
মাঝরাতের কলকাতার কোনো কোনো স্থান আচমকাই বিবর্তিত ঠিক হয়ে যায় ছমছমে কোনও এক অচেনা বিশ্বে। যেখানে রাতবিরেতে বেজে ওঠে অপার্থিব পিয়ানো, বন্ধ লিফট একা একা ওঠানামা করে, কারা কেঁদে ফেলে হু হু আর কারা যেন আচমকাই হেসে ওঠে হো হো। অলৌকিক রহস্য বুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে সম্পূর্ণ অচেনা ন্যাশানেল লাইব্রেরি, হেস্টিংস হাউজ, কলকাতা হাইকোর্ট, খিদিরপুর ডক, রেসকোর্স, গোরস্থান, ভুতুড়ে মেট্রো রেল স্টেশন এমন আরো কতো স্থান কতো হন্টেট হাউস, ভৌতিক স্থান। বোঝা যায়, এই অশরীরী হাসিকান্নার সাথে জড়িয়ে আছে কত গুপ্তহত্যা, কুটিল ষড়যন্ত্র আর বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস।
কী অভিশাপ এইসব স্থানের? কেন বারবার লোকমুখে উঠে আসে নানা শিহরণ জাগানো কাহিনি? কী ঘটনা রহস্যের মূলে? আদৌ কি এইসব স্থান রহস্যময় নাকি গোটাটাই ভ্রম, সাজানো কাহিনি? কলকাতার কুখ্যাত সব ভুতুড়ে বাড়ি-স্থান, তার ইতিহাস, ঘটনার বিবরণ, নানা অনুসন্ধান নিয়ে এই বই সাধারণ পাঠক এবং প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটরদের কাছে অনেক অজানা তথ্য, ভুলে যাওয়া ইতিহাস তুলে ধরবে।
অতিলৌকিক রহস্য আর তার অনুসন্ধানের যুগলবন্দীতে রচিত হয়েছে এই আনখশির বন্দিশ। আসুন, পাতা উল্টাতে থাকি এমন একটি “অপার্থিব” উপহারের …
Reviews
There are no reviews yet.