মহাকুম্ভে শাহী স্নান করতে যায় অঘোরী সাধুরা। উজ্জয়িনীর সিংহস্থ মহাকুম্ভে সেই নিয়ম মেনে চণ্ডালও গিয়েছিল শাহী স্নান করতে। কিন্তু জয়দ্রথ আর শিবাঙ্গী
তো সেই উদ্দেশ্যে যায়নি সেখানে। তাহলে কেন গিয়েছিল তারা? কেন তারা মহাকুম্ভ মেলার শিবিরে শিবিরে খুঁজে বেড়াচ্ছিল কোনো অঘোরী সাধুকে? কী এমন সমস্যা ছিল যে অন্তঃসত্ত্বা শিবাঙ্গীকে এই ভরা মাসে বার বার যেতে হচ্ছিল শ্মশানে? চণ্ডালের কথামতো চলে কি শিবাঙ্গী পার পাবে তার সমস্যা থেকে নাকি আরও বেশি রকমভাবে জড়িয়ে পড়বে?
রানি সুনেত্রা ছিল ভীষণ রকমের উচ্চাকাঙ্ক্ষী। নিজের উচ্চাকাঙ্ক্ষার কোন উদ্দেশ্যে পূরণের জন্যে সে তান্ত্রিক দ্বারুকের কাছে সাহায্য চেয়েছিল? কেন রাতের অন্ধকারে রাজবাড়িতে দ্বারুক রানিকে নিয়ে তন্ত্র সাধনা করতে বসত? আড়াইশো-তিনশো বছর আগের সেই রোমহর্ষক ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি কেন হল? রাজবাড়ির বংশধর এবং অন্যান্য সদস্যরা কি এই রহস্যের পর্দা ফাঁস করতে পারবে? চণ্ডাল কি আসল রহস্যকে বুঝতে পারবে নাকি রহস্যের আশেপাশেই ঘুরতে থাকবে?
দেবের শরীরে কি সত্যিই বিছের মতো দেখতে কোনো পোকা বাসা বেঁধেছিল নাকি এটা ওর মনের ভুল ছিল? যাকে স্বপ্নে দেখত দেব তাকে কি সত্যিই আগে কখনো দেখেছিল? শ্রুতি কেন টেনে নিয়ে গিয়েছিল ওকে উজ্জয়িনীর সিংহস্থ মহাকুম্ভে? কিঞ্জর কারা? কেন কিঞ্জররা সভ্য সমাজ থেকে নিজেদেরকে দূরে সরিয়ে রাখে? সত্যিই কি ওরা ওদের পূর্বপুরুষদের মৃতদেহ সৎকার করে না?
এই সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে এই বইতে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক…
Reviews
There are no reviews yet.