পাশ্চাত্যের ভয়াল সাহিত্যকে হেমেন্দ্রকুমার বাংলার কিশোর-কিশোরী পাঠকদের নাগালে এনে দিয়েছিলেন, তাঁর সৃষ্ট ভৌতিক গল্প সম্ভারের অনেকগুলির মধ্যে রয়েছে বিদেশি হরর গল্পের ছায়া। সেই ছায়া স্বদেশি কায়ার মধ্যে প্রচ্ছন্ন রেখে তিনি তৈরি করেছেন আশ্চর্য ভয়ের মায়াপুরী। সেখানে ট্রেনের কামরায় রাতের অন্ধকারে পুনরাবৃত্তি হয় অতীতের হত্যালীলা, সুন্দরী তরুণীর চেহারা পরিবর্তিত হয় হিংস্র শ্বাপদে, গভীর নিশীথে কুমুদিনী চৌধুরীর দেহধারী রক্তলোলুপ আত্মা শিকারের খোঁজ করে, মিশরীয় মমির মৃতদেহ জীবন্ত হয়ে ওঠে, দীঘির জনহীন প্রান্তরে ধ্বংস হয়ে বাংলোয় ফিরে আসে অতীত সুন্দরী, জ্বরাক্রান্ত যাত্রী চোখ মেলে দেখে বাসের চালক এক কঙ্কাল।
শুধু কায়াহীনের আবির্ভাবের নয় প্রতিটি গল্পেই লেখক বুনে চলেন শিহরনের মায়াজাল যা মায়া বিস্তার করে পাঠকের মনেও। গল্পের চরিত্রদের সঙ্গে এক গা ছমছমে ভাব যেন সংক্রামিত হয় পাঠকদের মনেও।
গল্প নির্বাচনের ক্ষেত্রে সম্পাদকের বিচারে তেষট্টিটি ভয়াল, রোমহর্ষক ও রোমাঞ্চকর গল্প এই গ্রন্থে স্থান পেয়েছে।
এর মধ্যে এগারোটি দুর্লভ গল্প পত্রপত্রিকা ঘেঁটে আহরিত হয়েছে, যেগুলো ইতিপূর্বে হেমেন্দ্রকুমারের কাহিনী সংকলনে স্থান পায়নি।
Reviews
There are no reviews yet.